ঢাকা, শুক্রবার ১৫, নভেম্বর ২০২৪ ২০:৫২:২৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজিমপুরে ডাকাতরা মালামালের সঙ্গে শিশুকেও নিয়ে গেছে সবজি ও মুরগির দাম কিছুটা কমেছে , চাল-আলুর দাম বাড়তি দিল্লিতে ভয়াবহ বায়ুদূষণ, বন্ধ সব প্রাইমারি স্কুল ৩ মাস পর চালু হলো সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ১৭ বছর পরও সিডরের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে উপকূলবাসী গাজায় ত্রাণ বহনকারী ট্রাকে ক্ষুধার্ত মানুষের হানা ফের কমলো স্বর্ণের দাম, ভরিতে কত

পাতা চা না গুঁড়ো চা, কোনটি খাওয়া ভাল? 

লাইফস্টাইল ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:১১ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

চা পাতা

চা পাতা

শীতের সকালে গরম চা ছাড়া দিনটাই শুরু করা কঠিন অনেকের পক্ষে। শুধু সকালে নয়, অনেকেই দিনে একাধিক বার চা পান করেন। আর এই চা যদি গুণেমানে ভাল না হয়, তবে মেজাজ বিগড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। কে কোন ধরনের চা খাবেন, তা একেবারেই নিজস্ব রুচির বিষয়। কেউ পাতা চা খান, কারও পছন্দ গুঁড়ো চা। কিন্তু জানেন কি শুধু স্বাদ নয়, স্বাস্থ্যগুণেও তফাত রয়েছে এই দু’ধরনের চায়ে?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চা প্রক্রিয়াকরণের উপর তার গুণগত মান অনেকটাই নির্ভর করে। গুঁড়ো চা-কে ‘সিটিসি’ চা-ও বলা হয়। ইংরেজিতে এর অর্থ ‘ক্রাশ, টিয়ার অ্যান্ড কার্ল’। বাগান থেকে চা পাতা তোলার পরে যন্ত্রের মাধ্যমে পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করা হয়। এই চা প্রস্তুত করতে খুব কম সময় লাগে। স্বাদও কিছুটা কড়া। অন্য দিকে, পাতা চা প্রস্তুত করতে দীর্ঘ সময় লাগে। বাগান থেকে পাতা তোলার পরে পাতন প্রক্রিয়ায় সেই পাতার বেশ কিছু উপাদান বাদ দেওয়া হয়। এর পরে এগুলি শুকিয়ে নেওয়া হয়। প্রয়োজনে কিছুটা সেঁকেও নেওয়া হতে পারে।

পাতা চায়ে ক্যাটেকিন, আইসোফ্লাভিন, পলিফেনলের মতো একাধিক যৌগ থাকে। কিন্তু গুঁড়ো চায়ে ক্যাটেকিন, আইসোফ্লাভনের মাত্রা খুব কম। পলিফেনলের পরিমাণ পাতা চায়ের মতোই। কিন্তু পাতা চায়ে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের মাত্রা গুঁড়ো চায়ের চেয়ে অনেক বেশি। শরীরকে দূষণমুক্ত করতে বেশি কার্যকর পাতা চা। পাতা চা হদ্‌রোগের আশঙ্কা কমায়। গুঁড়ো চায়ের এমন কোনও গুণ নেই।

পাতা চায়ে ট্যানিনের পরিমাণ তুলনায় কম থাকে। ফলে পাতা চায়ের তুলনায় গুঁড়ো চা খুব অল্প হলেও স্নায়ুকে বেশি উত্তেজিত করে। গুঁড়ো চা বেশি খেলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। তা ছাড়া গুঁড়ো চা খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। পাতা চা খেলে তার আশঙ্কা কম। তবে প্রত্যেকের শরীর আলাদা। তাই সবার দেহে দু’ধরনের চায়ের প্রভাব একই না-ও হতে পারে।